আল কোরআনের মর্মবাণী - রমজানের প্রয়োজনীয় তাফসীর, হাদীস ও বাণী: রমজান সম্পর্কিত হাদিস

রমজান সম্পর্কিত হাদিস

রমজান সম্পর্কিত হাদিস :

হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলার কসম! মুসলমানদের জন্য রমযানের চেয়ে উত্তম কোনো মাস আসেনি এবং মুনাফিকদের জন্য রমযান মাসের চেয়ে অধিক ক্ষতির মাসও আর আসেনি। কেননা মুমিনগণ এ মাসে (গোটা বছরের জন্য) ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় সংগ্রহ করে। আর মুনাফিকরা তাতে মানুষের উদাসীনতা ও দোষত্রুটি অন্বেষণ করে। এ মাস মুমিনের জন্য গনীমত আর মুনাফিকের জন্য ক্ষতির কারণ। -মুসনাদে আহমদ, হাদীস ৮৩৬৮, মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদীস-৮৯৬৮, সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস-১৮৮৪, তাবারানী হাদীস-৯০০৪, বাইহাকী শুয়াবুল ঈমান, হাদীস-৩৩৩৫


হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন- যখন রমযান মাসের আগমন ঘটে, তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর শয়তানদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়।-সহীহ বুখারী, হাদীস-১৮৯৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস-১০৭৯ (১), মুসনাদে আহমদ হাদীস-৮৬৮৪, সুনানে দারেমী, হাদীস-১৭৭৫

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘রোযা এবং কুরআন কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোযা বলবে, আমি তাকে দিনের বেলায় পানাহার ও প্রবৃত্তির চাহিদা মেটানো থেকে বিরত রেখেছি। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। কুরআন বলবে, আমি তাকে রাতে ঘুম থেকে বিরত রেখেছি। সুতরাং আমার সুপারিশ কবুল করুন। তখন দু’জনের সুপারিশই গ্রহণ করা হবে।-মুসনাদে আহমদ হাদীস : ৬৫৮৯; তবারানী, মাজমাউয যাওয়াইদ ৩/৪১৯

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে রমযান মাসের একটি রোযা ভঙ্গ করবে, সে আজীবন সেই রোযার (ক্ষতিপূরণ) আদায় করতে পারবে না।- মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৯৮৭৮

“এ মাসের প্রত্যেক রাতেই আল্লাহ তার কতিপয় বান্দাহকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন।” (সুনান তিরমিযী: ৬১৮)।
“রমজান মাসের সিয়াম দশ মাসের সমতূল্য এবং শাওয়ালের ছয় দিনের সিয়াম দুই মাসের সমতুল্য। এ যেন সারা বছরের সিয়াম।” (মুসনাদ আহমাদ: ২১৭৮)।
“এ মাসের প্রতি রাতেই আহ্বানকারী ঘোষণা দেয়, হে কল্যাণ কামনাকারী,কল্যাণের দিকে আস। হে অকল্যাণ কামনাকারী থেমে যাও।” (সুনান তিরমিযী: ৬১৮)।
“রমজান মাসে কৃত প্রত্যেক মুসলমানের দোয়া কবুল হয়ে থাকে।” (মুসনাদ আহমাদ: ৭১৩৮)।
“তোমাদের নিকট বরকতময় মাস রমজান এসেছে, যার সিয়াম আল্লাহ তোমাদের উপর ফরয করেছেন।” (সুনান নাসায়ী: ২০৭৯)।
“সাওম পালনকারীদেরকে রাইয়ান নামক দরজা হতে ডাকা হবে।” (সহীহ বুখারী: ১৭৬৪)।
 “তোমাদের কারোর যুদ্ধক্ষেত্রের ঢালের ন্যায় সাওমও জাহান্নামের ঢালস্বরূপ।” (সুনান নাসায়ী: ২২০০)।
“কিয়ামতের দিনে সাওম ও কুরআন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে।” (মুসনাদ আহমাদ: ৬৩৩৭)।
“কোন ব্যক্তির ফিতনা তার পরিবার, জান, মাল, সন্তান ও প্রতিবেশির মাঝে। যাকে মিটিয়ে দেয় সালাত, সাওম,সাদাকাহ, সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ।” (সহীহ বুখারী ৪৯৪)।
“কেবল সাওম ছাড়া আদম সন্তানের প্রত্যেক আমল তার জন্য; সাওম আমার জন্য আমি নিজে এর প্রতিদান দিব।” (সহীহ বুখারী: ১৭৭১)।