আল কোরআনের মর্মবাণী - রমজানের প্রয়োজনীয় তাফসীর, হাদীস ও বাণী: ইফতার, রোজার খাদ্যাভ্যাস এবং ফিজিকেল ফিটনেস

ইফতার, রোজার খাদ্যাভ্যাস এবং ফিজিকেল ফিটনেস

প্রচলিতভাবে আমরা ইফতারে ভাজাপোড়া খেয়ে অভ্যস্ত। কিন্তু এর কারণে রমজানে ইবাদত করার জন্যে যে দৈহিক ফিটনেস দরকার, সেটা আমাদের কমে যায়। তো শুরু থেকেই কোয়ান্টাম খেজুর পানি দিয়ে ইফতার করা উচিত । আশ্চর্য ব্যাপার এর মধ্যে একটি সহীহ হাদীস পেয়ে গেলাম যেখানে নবীজী বলছেন, যখন ইফতার করার সময় হবে তখন ইফতার করবে একটি খেজুর দিয়ে কেননা এর ভিতরে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বরকত রেখে দিয়েছেন।


আমার শরীর ঠিক থাকবে কি না আমি দুর্বল হয়ে যাবো এতসব প্রশ্ন এই এককথায় শেষ যে একটা খেজুর খেয়ে ইফতার করবো; পেট ভরে খাব না কেন? এটার ভিতরে বরকত আছে! শুধুমাত্র পানি দিয়ে ইফতার করো। কারণ এটি হচ্ছে তোমার স্বাস্থ্যের জন্যে সবচেয়ে উপযোগী পানীয়, সুবহানাল্লাহ! খেজুরের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে শুকনা খেজুর, ভেজা খেজুর, পাকা খেজুর আধা-পাকা খেজুর। এটার ব্যাখ্যায় নবীজী অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু মূল কথা এটাই যে, ইফতারি হতে হবে খেজুর-পানি। খেজুর না থাকলে শুধু পানি।
আমরা এটাকে ফরজ করছি না গুরুজীও এটাকে ফরজ করে দেন নি। খেজুরের সাথে মুড়ি কলা ডিম এসবও থাকে। কিন্তু ভূরিভোজ থাকে না। মূল দৃষ্টিভঙ্গিটা হচ্ছে যে শরীরের বারোটা বাজানো যাবে না। কোনোভাবেই এটা স্বাস্থ্যসম্মত না, শরীয়তসম্মত না, ইবাদাত সম্মত না। আমি নিজে এত কষ্ট করে একটা কাজ করলাম নিজ হাতে এটাকে সওয়াবও নষ্ট করে দিলাম আর শরীরেরও বারোটা বাজালাম। কেন এই বোকামির কাজটা করবো? এই ভাবে যদি আমরা একটি মাস সাধনা করি তাহলে আল্লাহ আশা করেন যে একমাসের সাধনার ফলে তার শরীর গঠনের যে প্রক্রিয়াটা আমি বুঝিয়ে দিলাম সে অভ্যস্ত হয়ে গেছে এখন বাকী ১১ মাস সে চলতে পারবে; এটা হলো আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ইচ্ছা।
এমনকি চিকিৎসাজীবীরাও প্রশ্ন করতে পারবেন না যে, না, এইভাবে শরীর টেকে না। বরং আমাদের যে লালিত অভ্যাস এইখানে আমরা হেরে যাই। তো আমরা সারাজীবন কি শুধু হারতেই থাকবো? আমরা হারতে চাই না, আমরা জিততে চাই। আল্লাহ যেহেতু এই শরীরটা বানিয়েছেন তিনি বুঝতে পেরেছেন যে ১১ মাস আমি এটার সর্বনাশ করেছি। তিনি এবার টেক কেয়ার করছেন, হস্তক্ষেপ করছেন যে, এই মাসটা এই রকম চলো, তাহলেই তুমি সুস্থ থাকবে। আমরা আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে মেডিকেল সায়েন্সের তথ্যের ভিত্তিতে চ্যালেঞ্জ দিতে পারি যে, এইভাবে যদি আমরা রোজা রাখতে পারি তাহলে আমাদের ফিটনেস ফিরে আসবে। সুত্র- কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন